#মি টু এবং ভিন্ন দৃষ্টিতে সাংবাদিকতা
মারিয়া সালামপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
সাম্প্রতিক সময়ে #মি টু এর অভিঘাত লেগেছে বাংলাদেশে। একের পর এক বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কর্মরত নারীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনা। আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি, নানা বয়সী আর পেশার নারীরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাদের পুরুষ সহকর্মীদের দিকে, অথবা পারিবারিক বন্ধুদের দিকে অথবা যাদের পরম বিশ্বাস করতেন বা সম্মান করতেন, সেই সব পুরুষের দিকে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে, শিক্ষক, নাট্যকার, নির্মাতা, সাংবাদিক, আবৃত্তিকার এবং শিল্পপতি। অভিযুক্ত একজন সম্প্রতি সরকারী দলের মনোনয়নও পেয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবেন উনি। অর্থাৎ, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা সকলেই সমাজের হয় উঁচুস্তরের পুরুষ নয়তো প্রভাবশালী বা জনপ্রিয় ব্যক্তি। তাদের রয়েছে হয় অর্থের জোর, নয়তো রয়েছে বিশাল বিপুল ভক্তকূল, যারা চোখ বন্ধ করে যেকোন বিপদে তাদের হয়ে লড়ে যাবেন। মানে দাঁড়ালো, অভিযুক্তরা বেশির ভাগই অর্থ আর মনের বলে বলিয়ান।
আমি এতক্ষণ যেসব লিখেছি, এর সাথে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার সম্পৃক্ততা আসলে কি আর কেন, এই স্বাভাবিক প্রশ্নটি সবার মনেই উঁকি দিতে পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেনই বা সাংবাদিকতার সাথে #মি টু কে সম্পৃক্ত করে লেখার প্রয়োজন পরে? উত্তরে প্রথম কথা হলো, সাংবাদিকতা আর #মি টু আন্দোলন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয়ভাবেই জড়িত। আর দ্বিতীয় কথা হলো, এটি কোন একরৈখিক সমিকরণ নয়, তাই এই উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের যেমন পারিপার্শ্বিক অনেক বিষয়ের ওপরে, বিশেষ করে একজন সাংবাদিকের সীমাবদ্ধতার ওপরে নজর দিতে হবে তেমন বাংলাদেশে সাংবাদিকতার গুণগত মানের প্রতিও আলোকপাত করতে হবে।
বাংলাদেশে #মি টু এর প্রথম অভিযোগ আনেন, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আইরিশ মডেল মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। সোস্যাল মিডিয়ায় তার স্টেটাসটি মূহুর্তেই ছড়িয়ে পরলেও, প্রথম সারির কোন গণমাধ্যমই সেটা খবর আকারে প্রকাশ করে নি। তার কারণ হলো, অভিযুক্ত একজন বড় শিল্পপতি, সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাই, পারিপার্শ্বিক এবং সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করলে প্রিয়তির ঘটনাটা আক্ষরিক অর্থে কোন সংবাদ হয়ে উঠতে পারে নি।
এরপরেও যেকটি অভিযোগ উঠেছে, তার কোনটাই সংবাদমাধ্যমে সেই ভাবে উঠে আসে নি। তার কারণ হলো, তারা সবাই সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রভাবশালী আর জনপ্রিয়। যে কোন ভাবেই তারা সফল হয়েছে বিষয়টি সোস্যাল মিডিয়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে। এমনকি এখানেও তাদের ভক্তকূল তাদের পক্ষে এমন ভাবে সাফাই গেয়ে চলেছে যে, উল্টো অভিযোগের তীর ঘুরে গেছে নির্যাতিতার দিকে। তার চরিত্র নিয়ে নানা ধরণের গল্প ফাঁদা হয়েছে, কথা উঠেছে পোষাক নিয়ে বা তার স্বাধীনভাবে চলাফেরা নিয়ে। সে সব আবার অখ্যাত অনেক নিউজ পোর্টাল রসাল খবর বানিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়। যার মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পরেছে সেই নারীদের মানসিক আর সামাজিক জীবনে। এই খানেই আসলে গণমাধ্যম কর্মীদের দক্ষতার বিষয়টি উঠে আসে।
যে কোন ঘটনা সংবাদমাধ্যমে যাওয়ার আসল উদ্দেশ্য আসলে কি? সেটি কেবল প্রচার হওয়া? না, আসলে আমার মতে গণমাধ্যমের ভূমিকা এত ক্ষুদ্র নয়, বরং অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। একটি ঘটনা কেবল ঘটনা নয়, এর পেছনে অনেক কারণ থাকে, সমাজে এর প্রভাব থাকে, প্রয়োজন পরে এর একটি প্রতিকার বের করার। একটি সংবাদমাধ্যম চাইলেই ঘটনার পেছনের কারণ গুলো খুঁজে বের করে, যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে তার একটি যুতসই প্রতিকারও বের করে আনতে পারে। আর এখানেই দক্ষ আর অদক্ষ সংবাদকর্মীর পার্থক্য নিহিত থাকে। ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে লেখার সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে বা অভিযোগটি সত্য নাও হতে পারে, সেটি একটি ভিন্ন আলাপ। কিন্তু, যৌন হয়রানি না নির্যাতনের ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে আমাদের দেশে। তার অনেকটাই সোস্যাল মিডিয়ায় উঠে আসে না। আবার যেগুলো উঠে আসে সেটি একটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষের কথা, বৃহৎ অর্থে সব নির্যাতিত নারী পুরুষের কথা নয়। সব চেয়ে বড় কথা হলো, এই ঘটনা গুলো কেন ঘটছে, তার পেছনে কোন ধরনের মনোবৈকল্য কাজ করছে, তার অর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট কি আর প্রতিকারই বা কি, এই বিষয়গুলো সেইভাবে গণমাধ্যমে উঠে আসছে না, এখানেই আমাদের সাংবাদিকতার একটি দূর্বল দিক বলে আমি মনে করি।
আমাদের অনেক সাংবাদিক নিজেও সঠিকভাবে এখনও বুঝে উঠেন নি, আসলে #মি টু আন্দোলন কি বা এর প্রয়োজনীয়তাই বা কি? অনেক সাংবাদিক রাজপথে নেমেছেন, গোলটেবিল বৈঠক হয়েছে #মি টু আন্দোলনের পক্ষে। এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই, এতে করে নির্যাতিতরা অনেক মানসিক শান্তি পেয়েছেন, তাদের সাহস বেড়েছে। তবে, আমি ব্যক্তিগত ভাবে হতাশ হয়েছি এটা ভেবে যে, এর কোন দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল নেই, কারণ, কেউ একটি বিষয় নিয়ে ভাবছেন না বা সেভাবে কথা বলছেন না। সেটি হলো, কারা কোন পরিস্থিতিতে এই আক্রমণের শিকার হচ্ছেন, কেনই বা হচ্ছেন আর নির্যাতক কোন ভীতের উপরে দাঁড়িয়ে কেন এমন আচরণ করছেন? নির্যাতকের মনোবৈকল্যের কারণ কি বা তাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর সাথে সাথে কিভাবে মানসিক চিকিৎসা দিয়ে এই মনোবৈকল্য দূর করা সম্ভব সেটা বোধ করি কোন সাংবাদিক এখনও আলোচনায় আনেন নি।
কথাগুলো আমি খুব সহজেই বলতে পারছি কারণ, বাংলাদেশে যে নারী সাংবাদিকেরা প্রথম #মি টু আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, আমি সৌভাগ্যবশত তাদের মধ্যে ছিলাম। নানা আলাপ আলোচনায় আমি বারবার বুঝেছি, অনেকেরই এ বিষয়ে গভীর ধারণা নেই, অনেকেই আবার জানে না সমর্থন জানিয়ে রাস্তায় নামলেই দায়মুক্তি হবে না, লেখনীর মাধ্যমে প্রকৃত সমাধান বের করাটাই একজন সাংবাদিকদের আসল কাজ। তাই, সাংবাদিকদের অবশ্যই প্রথমে জানতে হবে এই আন্দোলনের ইতিহাস এবং সেই সাথে প্রচলিত আইনে নির্যাতকের জন্য কোন শাস্তির বিধান রয়েছে কিনা? থাকলে, কোন অপরাধের জন্য সে কি ধরনের শাস্তি পেতে পারে। এক্ষেত্রে, নির্যাতিতা কি ভাবছেন বা চাচ্ছেন সেটাও যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে নির্যাতকের অপরাধের মাত্রা নির্নয় করাটাও জরুরী। কারণ, যে কটি ঘটনা সামনে এসেছে, তার বেশিরভাগ বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়, অভিযুক্তের উদ্দেশ্য ছিল একা পেয়ে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা। আবার, কোনকোন ক্ষেত্রে নির্যাতক নিজেও বুঝতো সেই পরিবেশে ধর্ষণ করা বা কোনভাবে নারীটির সমর্থন নিয়ে যৌন সম্পর্কে যাওয়া এই মূহূর্তেই সম্ভব না, তাই সে নানা নিপিড়নের মাধ্যমে নারীটিকে প্রথম দফায় মানসিক ভাবে দূর্বল করতে চেয়েছে, যাতে পরে সুযোগ মত তাকে ব্যবহার করা যায়।
প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি নারীটির চরম দূর্বল মূহূর্ত্বে তাকে আক্রমণ করেছে, বা সে সময় নারীটি অর্থনৈতিক বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। অনেক সময় বন্ধু ভেবে নারীটি তার পুরুষ সহকর্মীকে নিজের হতাশার কথা বলতে যেতে উল্টো নিগ্রহের শিকার হচ্ছে। অর্থাৎ, সব ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত নির্যাতিতার দূর্বলতার সুযোগ নিয়েছে। তাই, এই সময় সংবাদমাধ্যমের উচিত, নারীর শক্তি বিকাশে বা নারীদের সাবলম্বি করতে সঠিক তথ্য ও উপাত্ত সমৃদ্ধ লেখা প্রকাশ করা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টিকে নিয়ে আসা। বাংলা দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী একজন স্বর্ণপদকজয়ী নারী খেলোয়াড় ক্রীড়া পরিষদের একটি কক্ষে একজন কর্মচারী দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে আজ মানসিক ভাবে অসুস্থ। অন্য সব সহযোগিতার কথা বাদই দিলাম, আমার চোখে এমন একটাও প্রতিবেদন পরলো না যেখানে এই ধরনের স্থাপনা গুলোতে কি কি নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে বা সে গুলো কিভাবে অতিদ্রুত সমাধানের আওতায় আনা যায় সে সম্পর্কে কিছু আছে । ঘটনার বিবরণ দিয়েই দায়িত্ব শেষ হয় না, এই বিষয়টি ধরতে না পারাটাই আমাদের সাংবাদিকতার একটি দূর্বল দিক।
আবার, বিশ্বের অন্যান্য দেশের দিকে তাকালে আমরা দেখি, এ ধরনের অভিযোগ উঠে আসার সাথে সাথে সব গণমাধ্যমে সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছে। অনেকে বলছে এতে করে কি আর লাভ হয়েছে? যার ক্ষতি হয়েছে, সে কি তা ফিরে পাবে? এটা একটা হাস্যকর প্রশ্ন। এই সংবাদগুলো গুরুত্ব সহকারে প্রচার হলে, কেবল অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনের মাধ্যমে বা যেখানে এই সংক্রান্ত আইন নেই, সেখানে সামাজিক ভাবে একটি শাস্তি পাবেন। এতে করে, ক্ষতিগ্রস্তের সাথে ন্যায়বিচার হবে আর অন্য অনেক নারী এই ধরনের আক্রমণের হাত থেকে বেঁচে যাবেন। আবার, এই ধরনের মানসিকতা ধারণ করেন এমন অনেকেই সেখানেই থেমে যাবেন, লোকলজ্জার ভয়ে বেশি দূর এগোতে পারবে না।
কিন্তু, আমাদের দেশে তেমন কোন প্রথম সারির পত্রিকাই এই সংবাদ গুলো সচেতন ভাবে এড়িয়ে গেছে। এতে করে, একদিকে যেমন ঘটনা গুলো ধামাচাপা পরে যাচ্ছে, অন্যদিকে তেমন নির্যাতিতা হারাচ্ছেন বিশ্বাসযোগ্যতা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই, অভিযোগকারীর ফেসবুক বন্ধুরা ছাড়া বাকিরা ঘটনাটা জানতে পারছে না। এতে করে সমাজের প্রতি, গণমাধ্যমের প্রতি বা যথাযথ কতৃপক্ষের প্রতি যেমন এক দিকে নির্যাতিতার আস্থা কমে যাচ্ছে, অন্য দিকে আরো অনেক নারীর হয়রানি হবার আশংকাও দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি গোলটেবিল বৈঠকের হয়রানির শিকার নারীরা প্রায় সবাই বলেছেন, তারা গ্লানিমুক্ত হতে আর অন্য নারীদের সাবধান করতেই মুখ খুলেছে। এই অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাহমিদুল হক ও কাবেরী গায়েন সহ নেতৃস্থানীয় অনেক বুদ্ধিজীবীই নারীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন, তাদের বলেছেন নির্ভয়ে মুখ খুলতে। কিন্তু, যারা মুখ খুলেছেন, তাদের সাহসের কাহিনী ইতিবাচক ভাবে প্রচারিত না হলে, বাকিরা কি সাহস পাবেন?
যিনি অন্যায় করছেন, তিনি নিজেই কিন্তু মানসিক বৈকল্যের শিকার। তার ব্যক্তিগত জীবনের ইতিহাস ঘটলেও এর অনেক প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাই, এই ধরণের ব্যক্তিদের শাস্তির পাশাপাশি কিভাবে মানসিক চিকিৎসা দেয়া যায় বা আদৌও তাদের চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কিনা, এই নিয়েও প্রতিবেদন লেখাটা জরুরী।
আবার অনেক নতুন নারী কর্মীরা একটি ভীতির মধ্যে আছেন। তারা নিজেদের পুরুষ সহকর্মীদের ভয় পাচ্ছেন বা এড়িয়ে চলছেন। এক্ষেত্রে, কাজের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যহত হচ্ছে। তাই, কর্মক্ষেত্রে যেসব পুরুষেরা নারী সহকর্মীদের ভরসার জায়গা হতে পেরেছেন বা নিজের প্রতিষ্ঠানে নারীদের কাজের ভাল পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছেন, তাদের গল্পও উঠিয়ে আনতে হবে লেখায়।
আর যেসব সাংবাদিক এই আন্দোলনের সাথে জড়িত, তাদের প্রথমে নিজেদের জ্ঞানের ভান্ডার পূর্ণ করতে হবে। তাদের বুঝতে হবে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাউকে যৌন হয়রানি করলেই বা জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলেই তা #মি টু এর অন্তর্ভূক্ত। এর সাথে নির্যাতিত ব্যক্তির পোশাক বা চালচলন কোন ভাবেই সম্পর্কিত নয়। একজন যৌনকর্মীও এই অভিযোগ আনতে পারেন। তাই, বিষয়টির গুরুত্ব বুঝেই কেবল কোন মন্তব্য গ্রহণ করতে হবে।
প্রত্যেকটি গণমাধ্যম অফিসে একটি করে কর্মী সুরক্ষা সেল গড়ে তোলা এখন একটি সময়ের দাবি। নারী পুরুষ আলাদা করে না, কাজের জায়গায় প্রত্যেক ব্যক্তিই অসহায় বোধ করতে পারেন, কারো সাথে সরাসরি আলাপ করার প্রয়োজনবোধ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে, এ ধরনের সেল তাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিবে। সেখানে, একজন মানসিক চিকিৎসক ও একজন আইনজীবি থাকতে পারেন। এতে, অনেক নারী হয়রানির হাত থেকে বাঁচবে বলে মনে করি।
অনেক সময় সরাসরি যৌন হয়রানি করতে না পেরে, অনেকে নারী সহকর্মীদের সাথে বাজে ব্যবহার করেন বিনা কারণেই। এটিও একধরনের যৌন হয়রানি। এই বিষয়েও লেখালেখির প্রয়োজন রয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা, নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে ফেলাটা জরুরী। কিছু কাজ আমাদের ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে যেয়ে সমাজের ভালোর জন্য করতে হয়। সেক্ষেত্রে, আমরা ব্যক্তিগত আক্রমন না করে, নিজের লেখনী দিয়েও অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারি। আমাদের ইচ্ছা শক্তিটাই এখানে মূল। আর দরকার ঐক্য। আমাদের মনে রাখতে হবে বিভক্ত কোন শ্রেণীর পক্ষেই একক ও ঐক্যবদ্ধভাবে কোন কিছু প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়, তা সে নিজেদের অধিকার আদায়ের লড়াই হোক বা #মি টু আন্দোলনই হোক।